লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালমুক্ত সেবা নিশ্চিত হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্তুষ্টি বেড়েছে। আগে দালাল, অতিরিক্ত খরচ ও হয়রানির অভিযোগ থাকলেও এখন সরকারি ফি জমা দিলেই সহজে পাসপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। অফিসে গিয়ে দেখা যায়—সব কাজ হচ্ছে নিয়ম মেনে, সুশৃঙ্খলভাবে এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়।
রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, আবেদনকারীরা লাইনে দাঁড়িয়ে ফরম জমা দিচ্ছেন, ছবি তুলছেন ও বায়োমেট্রিক দিচ্ছেন। কোথাও দালালের উপস্থিতি নেই। অনেকেই জানান, “আগে দালাল ছাড়া কাজ করা যেত না, এখন নিজেরাই সব করতে পারছি।”
পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালকএ কে এম আবু সাঈদ বলেন, “আমরা হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারি করছি। প্রতিদিন ১৭০–২৫০ জন আবেদনকারী সেবা নিতে আসে। সবাইকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।”
ডিজিটাল আবেদন প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় দালালের ওপর নির্ভরশীলতা কমে গেছে। নারী ও প্রবীণদের জন্য রয়েছে আলাদা সহায়তা সুবিধা। অফিস কর্তৃপক্ষ জানায়, কিছু গোষ্ঠী অপপ্রচার চালালেও সেবার মান বজায় রাখতে তারা নিয়মিত কাজ করছে।
একসময় যেখানে অতিরিক্ত খরচ, দালালের চাপ ও হয়রানির অভিযোগ ছিল, সেখানে এখন লক্ষ্মীপুরের পাসপোর্ট অফিস সুশৃঙ্খল ও দালালমুক্ত সেবার মডেলে পরিণত হয়েছে। এতে বাড়ছে মানুষের আস্থা ও সন্তুষ্টি।
মেহেনাজ সুলতানা 








